ইদানিং জীবন যাপন | হেলাল হাফিজ | Helal Hafiz | Edaning Jibon Japon | Bangla Poem | Md Nafiz Imtiaz

ইদানিং জীবন যাপন – হেলাল হাফিজ আমার কষ্টেরা বেশ ভালোই আছেন, প্রাত্যহিক সব কাজ ঠিক-ঠাক করে চলেছেন খাচ্ছেন-দাচ্ছেন, অফিসে যাচ্ছেন, প্রেসক্লাবে আড্ডাও দিচ্ছেন। মাঝে মাঝে কষ্টেরা আমার সারাটা বিকেল বসে দেখেন মৌসুমী খেলা, গোল স্টেডিয়াম যেন হয়ে যায় নিজেই কবিতা। আজকাল আমার কষ্টেরা বেশ ভালোই থাকেন, অঙ্কুরোদ্গম প্রিয় এলোমেলো যুবকের অতৃপ্ত মানুষের শুশ্রূষা করেন। বিরোধী দলের ভুল মিছিলের শোভা দেখে হাসেন তুমুল, ক্লান্তিতে গভীর রাতে ঘরহীন ঘরেও ফেরেন, নির্জন নগরে তারা কতিপয় নাগরিক যেন কতো কথোপকথনে কাটান বাকিটা রাত, অবশেষে কিশোরীর বুকের মতন সাদা ভোরবেলা অধিক ক্লান্তিতে সব ঘুমিয়ে পড়েন। আমার কষ্টেরা বেশ ভালোই আছেন, মোটামুটি সুখেই আছেন। প্রিয় দেশবাসী; আপনারা কেমন আছেন? Hafiz never associated himself directly with any political activity but his famous verses “Ekhon joubon jar juddhe jabar tar shreshtha samoy” (It's the best time for one to go to war who is in his youth) was seen in wall writings, posters, leaflets and chanted in processions at university campuses and street side walls to inspire the youths to get prepared for the Liberation War against Pakistan. It returned as a popular slogan of student activists and left-leaning organisations during popular movements against military or autocratic rules in independent Bangladesh. But Hafiz, who appeared to be a sensitive man on questions of quality, visibly preferred a self-exile from the literary arena for years after the publication of the Je Jale Agun Jwale. He explained his silence as the outcome of a sense of fright of losing popularity after the tremendous success that reached him to the peak of fame. Hafiz, however, gradually resumed his literary activities recently coming up with his Kabita Ekattur (Poems Seventy One) recently to make visible again his formidable presence in the literary arena while his third book is set to hit the bookstalls in few months. A journalist by profession Hafiz eventually found the literature section of newspapers as his professional abode while he served as a literary editor of a number of newspapers over the past four decades. But the instability in the newspaper industry also threw him out of the job several times, exposing him to extreme difficulties. His luck in gambling earned him the repute of being a great gambler in close circle and in one of his newspaper interviews Hafiz bluntly said during his state of joblessness, gambling appeared to be his major income source for a period. A dichotomy of love of land and devotion to the lover is clearly visible in his poems but Hafiz finds a way toward a compromise projecting himself as a tender lover and rebel patriot as he wrote “Rather today let us like the songs of Jahidur/Summon boshekh from the heart, bring in both lives /Do you know, Helen. হেলাল হাফিজ (জন্মঃ ৭ অক্টোবর, ১৯৪৮) বাংলাদেশের একজন আধুনিক কবি যিনি স্বল্পপ্রজ হলেও বিংশ শতাব্দীর শেষাংশে বিশেষ জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। তার কবিতা সংকলন যে জলে আগুন জ্বলে ১৯৮৬ সালে প্রকাশিত হওয়ার পর অসংখ্য সংস্করণ হয়েছে। ২৬ বছর পর ২০১২ সালে আসে তার দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ কবিতা একাত্তর। তার অন্যতম জনপ্রিয় কবিতা ‘নিষিদ্ধ সম্পাদকীয়’;- এ কবিতার দুটি পংক্তি ‘‘এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়, এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়’’ বাংলাদেশের কবিতামোদী ও সাধারণ পাঠকের মুখে মুখে উচ্চারিত হয়ে থাকে।[১] তিনি সাংবাদিক ও সাহিত্য সম্পাদক হিসাবে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় কাজ করেছেন। ২০১৩ খ্রিস্টাব্দে তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কারে ভূষিত হন। কবিতা: নিষিদ্ধ সম্পাদকীয়, নিরাশ্রয় পাঁচটি আঙুল, দুঃসময়ে আমার যৌবন, অস্ত্র সমর্পণ, অগ্নুৎসব, বেদনা বোনের মতো, ইচ্ছে ছিলো, প্রতিমা, অন্যরকম সংসার, নিখুঁত, স্ট্রাটেজি, আমার সকল আয়োজন, হিরণবালা, দুঃখের আরেক নাম, প্রত্যাবর্তন, তীর্থ, অনির্ণীত নারী, অশ্লীল সভ্যতা, কবিতার কসম খেলাম, পরানের পাখি, বাম হাত, তোমাকে দিলাম, উপসংহার, শামুক, আমার কী এসে যাবে, ইদানীং জীবন, যাপন, পৃথক পাহাড়, অহংকার, কোমল কংক্রিট, নাম ভূমিকায়, সম্প্রদান, একটি পতাকা পেলে, মানবানল, যার যেখানে জায়গা, কবি ও কবিতা, ফেরিঅলা, উৎসর্গ, যেভাবে সে এলো, রাডার, যাতায়াত, যুগল জীবনী, লাবণ্যের লতা, তোমাকেই চাই, ভূমিহীন কৃষকের গান, কবুতর, নেত্রকোণা, তুমি ডাক দিলে, হিজলতলীর সুখ, রাখাল, ব্যবধান, কে, অমীমাংসিত, সন্ধি,ক্যাকটাস, তৃষ্ণা, হৃদয়ের ঋণ, প্রস্থান, ঘরোয়া, রাজনীতি, ডাকাত কাব্যগ্রন্থ: যে জলে আগুন জ্বলে (১৯৮৬),কবিতা ৭১ (বাংলা ও ইংরেজি দুই ভাষায়, একুশে বইমেলা ২০১২), বেদনাকে বলেছি কেঁদোনা (২০১৯)

الفئة