আদম আঃ - /watch/segrMmA8qhz8r
নূহ আঃ – /watch/8yGwjOuXxqXXw
ইদ্রিস আঃ - /watch/0mQOmTi9GYK9O
হুদ আঃ - /watch/UJmkFttw-FCwk
সালেহ আঃ - /watch/svdbxuvy6f4yb
ইব্রাহিম আঃ - /watch/YKl352cA0JfA3
লূত আঃ - /watch/kC_TOxEmY94mT
ইসমাইল – /watch/wGC12kQ1f5311
ইসহাক - /watch/gSCaszl7IUx7a
ইয়াকুব আঃ - /watch/kew2E2HiSTui2
ইউসুফ আঃ - /watch/UOSAoBm8DwU8A
আইয়ুব আঃ - /watch/koeiO3YiRB3ii
শোয়াইব আঃ - /watch/c9DtGO4OHCaOt
মূসা আঃ ও ফেরাউন - /watch/oAkMT0soQ3voM
ইউনুস আঃ - /watch/kni0GfHtVm_t0
দাউদ আঃ - /watch/kZFdessrl80rd
সুলাইমান আঃ - /watch/05dwFC-7rke7w
ইলিয়াস আঃ - /watch/Q0Ul90wJaCPJl
যাকারিয়া ও ইয়াহিয়া আঃ - /watch/Ap5tvBYg_9vgt
ঈসা আঃ - /watch/0ZiP9ufVj3NVP
মুহাম্মাদ (সঃ) জন্ম - /watch/088YEaqgl1hgY
মুহাম্মাদ (সঃ) নবুওয়াত - /watch/IIWVimhDZDqDV
মুহাম্মাদ (সঃ) মিরাজ - /watch/US1X_lLkS77kX
মুহাম্মাদ (সঃ) ইন্তেকাল - /watch/glpJwFgpMySpJ
মুহাম্মাদ (সঃ) ১১ বিবি - /watch/IQpJGMi_CD1_J
মুহাম্মাদ (সঃ) এর সন্তান - /watch/YeG3YTJ7STX73
আবু জাহেল মৃত্যু ও শাস্তি - /watch/wiZ05_UBCpEB0
আবু তালিব মৃত্যু ও শাস্তি - /watch/wIFnem49iLM9n
আলী ও ফাতিমা (রাঃ) বিবাহ - /watch/kCicke1CcEwCc
ইয়াজুজ মাজুজ - /watch/0WPuaGK-76a-u
হযরত ইলিয়াস (আঃ) ফিলিস্তিনের পার্শ্ববর্তী জর্ডানের আল‘আদ নামক স্থানে জন্মগ্রহণ করেন। আল্লাহ পাক তাঁকে নবী হিসাবে মনোনীত করেন এবং ফিলিস্তিন অঞ্চলে তাওহীদের প্রচার ও প্রসারের নির্দেশ দান করেন। ইলিয়াস নবী হযরত হিয্ক্বীল (আঃ)-এর পর এবং হযরত আল-ইয়াসা‘ (আঃ)-এর পূর্বে দামেষ্কের পশ্চিমে বালা বাক্কা অঞ্চলের বনু ইস্রাঈলগণের প্রতি প্রেরিত হয়েছিলেন। এই সময় হযরত সুলায়মান (আঃ)-এর উত্তরসুরীদের অপকর্মের দরুণ বনু ইস্রাঈলের সাম্রাজ্য দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছিল। এক ভাগকে ‘ইয়াহূদিয়াহ’ বলা হ’ত এবং তাদের রাজধানী ছিল বায়তুল মুক্বাদ্দাসে। অপর ভাগের নাম ছিল ‘ইস্রাঈল’ এবং তাদের রাজধানী ছিল তৎকালীন সামেরাহ এবং বর্তমান নাবলুসে।
ইলিয়াস নবীর দাওয়তের ফলঃ ইলিয়াস (আঃ) তাঁর দাওয়াত চালিয়ে যেতে থাকেন। অবশেষে রাজা ও রাণী তাঁকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেন। ফলে তিনি রাজধানী ছেড়ে অনেক দূরে এক পাহাড়ের গুহায় আত্মগোপন করলেন এবং দুর্ভিক্ষ নাযিলের জন্য আল্লাহর নিকটে প্রার্থনা করলেন। ফলে সারা দেশে ব্যাপক দুর্ভিক্ষ দেখা দিল। ইলিয়াস (আঃ) মনে করলেন দুর্ভিক্ষ দূর করার জন্য তিনি যদি তাদেরকে মোজেযা প্রদর্শন করেন, তাহলে হয়ত তারা শিরক বর্জন করে তাওহীদ কবুল করবে এবং এক আল্লাহর ইবাদতে ফিরে আসবে।
বা‘ল দেবতার নামে কুরবানীর ঘটনা : পূর্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ‘কোহে কারমাল’ নামক পাহাড়ী উপত্যকায় সকলে সমবেত হল। বা‘ল দেবতার নামে তার মিথ্যা নবীরা কুরবানী পেশ করল। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বাল দেবতার উদ্দেশ্যে আকুতি-মিনতি ও কান্নাকাটি করে প্রার্থনা করা হল। কিন্তু দেবতার কোন সাড়া পাওয়া গেল না। আসমান থেকে কোন আগুন নাযিল হল না। অতঃপর হযরত ইলিয়াস (আঃ) আল্লাহর নামে কুরবানী করলেন এবং যথাসময়ে আসমান থেকে আগুন এসে তা খেয়ে গেল। বস্তুতঃ এটাই ছিল কুরবানী কবুল হওয়ার নিদর্শন। এভাবেই কবুল হয়েছিল আদম পুত্র হাবীলের কুরবানী। তখনকার সময় মুশরিকদের মধ্যেও এ রীতি গ্রহণযোগ্য ছিল, যা ইলিয়াসের বর্তমান ঘটনায় প্রমাণিত হয়। আসমান থেকে আগুন এসে কুরবানী কবুলের এই অভাবনীয় দৃশ্য দেখে অনেকে সাথে সাথে সিজদায় পড়ে গেল এবং ইলিয়াসের দ্বীন কবুল করে নিল। সকলের নিকটে ইলিয়াস (আঃ)-এর সত্যতা স্পষ্ট হয়ে গেল।
ইলিয়াস (আঃ) কে পুনরায় হত্যার ষড়যন্ত্র : ওদিকে আখিয়াবের স্ত্রী ইযবীল হযরত ইলিয়াস (আঃ)-কে পুনরায় হত্যার চড়ান্ত শুরু করে দিল। ফলে তিনি রাজধানী সামেরাহ (নাবলুস) ছেড়ে চলে গেলেন এবং কিছুদিন পর বনু ইস্রাঈলের অপর রাজ্য পার্শ্ববর্তী ইয়াহূদিয়াহতে উপস্থিত হলেন। ঐসময় বা‘ল পূজার ঢেউ এখানেও লেগেছিল।
হযরত ইলিয়াস (আঃ) কি জীবিত আছেন? সুয়ূত্বী, ইবনে আসাকির, হাকেম প্রমুখের বিভিন্ন বর্ণনায় প্রতীয়মান হয় যে, চারজন নবী জীবিত আছেন। তন্মধ্যে খিযির ও ইলিয়াস দুনিয়াতে এবং হযরত আল-ইয়াসা‘ (আঃ) ইদরীস ও ঈসা আসমানে রয়েছেন। কিন্তু হাকেম ও ইবনু কাছীর এসব বর্ণনাকে বিশুদ্ধ বলেননি। অর্থাৎ ইলিয়াস নবী কি বেচে আছে? এই বিষয়টি পুরোপুরি মীমাংসিত না। সুতরাং এই বিষয়ে আমাদের চুপ থাকায় বুদ্ধিমানের পরিচয়।
বাল দেবতার পরিচয় : মক্কার খুযা‘আহ গোত্রের নেতা আমর বিন লুহাই সর্বপ্রম সিরিয়া থেকে বহু মূল্যের বিনিময়ে এই মূর্তি নিয়ে এসে কাবা গৃহে স্থাপন করেন এবং জনগণকে এই বলে আশ্বস্ত করেন যে, সিরিয়ার লোকজন এই মূর্তির অসীলায় পানি প্রার্থনা করে। আমরাও এর অসীলায় পানি প্রার্থনা করব। তাতে সিরিয়ার মতো মক্কা অঞ্চলেও প্রচুর বৃষ্টিপাত হবে এবং এলাকা শস্য-শ্যামল হয়ে উঠবে। এটাই ছিল কাবা গৃহে স্থাপিত প্রথম দেবমূর্তি। পরে অন্যান্য ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন সময়ে আরও মূর্তি এনে কাবা ঘরে মূর্তি স্থাপন করতে থাকে। এভাবে রাসূলের আবির্ভাবকালে তার সংখ্যা ৩৬০ তে গিয়ে দাঁড়ায়।
কোরান সুন্নাহের রেফারেন্স সহ প্রতিনিয়ত ইসলামিক ভিডিও পেতে আমাদের চ্যানেলের সাথে যুক্ত থাকুন। লিংক - /RevealedMedia
#হযরতইলিয়াসআঃএরজীবনী #prophetilyasstory #ইলিয়াসনবীরজীবনী